ভারতবর্ষে ইতিহাস চর্চা

মূল : শায়খ আবদুল হাই হাসানি নদভী
রুপান্তর : ইমরান রাইহান

(প্রথম পর্ব)

ভারতবর্ষে বরাবরই ইতিহাসচর্চায় আগ্রহ- উদ্দীপনা ছিল। এখানকার লেখকরা তাই রাজন্যবর্গের শাসনকাল ও তাদের যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস সংরক্ষনে কলম ধরেছেন। তারা আলেম, সুফী, কবি, চিকিৎসকদের জীবনি নিয়েও বইপত্র লিখেছেন, যদিও জন্মতারিখ ও মৃত্যুতারিখ উল্লেখের ক্ষেত্রে তারা বরাবরই উদাসীন ছিলেন। তারা লিখেছেন বেশী ফার্সিতে, হিন্দিতেও কম লিখেন নি, এমনকি লিখেছেন আরবীতেও। এ সকল বইপত্রের এক বিরাট অংশই লেখা হয়েছে শাসকদের জীবনি ও শাসনকাল নিয়ে। চলুন এ ধারার কিছু গ্রন্থের নাম জেনে আসা যাক :

১. তারীখে সিন্ধ। একে তারীখে কাসেমীও বলা হয়। লেখক আলী বিন হামীদ কুফী সিন্ধী।
২. তাজুল মাআছির। লেখক সদরুদ্দীন মুহাম্মদ বিন হাসান নিজামী নিশাপুরী। এই গ্রন্থে ৫৮৭ হিজরী থেকে ৬১৪ হিজরী (কিছু কিছু কপিতে ৬২৬ হিজরী) পর্যন্ত ভারতবর্ষের শাসকদের আলোচনা করা হয়েছে।
৩. তবাকাতে নাসিরী। লেখক কাজী মিনহাজুদ্দীন জুরজানি। রচনাকাল ৬৫৮ হিজরী।
৪. তারীখে ফিরোজশাহী। লেখক কাজী জিয়াউদ্দীন বারনী। রচনাকাল ৭৫৮ হিজরী।
৫. ফুতুহাতে ফিরোজশাহী। লেখক সিরাজ আফীফ।
৬. তারীখে কাবীর। লেখক শায়খ কাবীর উদ্দিন ইরাকী। এই বইটি সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর সময়কাল নিয়ে লেখা।
৭. শাহনামা । লেখক বদরুদ্দীন শাশী। তিন হাজার পংক্তির এই বইটি সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের সময়কাল নিয়ে লেখা।
৮. মসনবী কুরআনুস সা’দাইন। লেখক আমির খসরু বিন সাইফুদ্দীন দেহলভী। এটি সুলতান মুইযযুদ্দীন কায়কোবাদ ও তার পিতা বোগরা খানের সাক্ষাতকারের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা।
৯. তাজুল ফুতুহাত। সুলতান জালালুদ্দীন খিলজির যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাস নিয়ে লেখা। খাজাইনুল ফুতুহ। সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির যুদ্ধের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা। তুঘলকনামা। সুলতান গিয়াসুদ্দীন তুঘলকের সময়কাল নিয়ে লেখা। তিনটি বইই আমীর খসরু দেহলভীর লেখা।
১০. তুঘলক নামা । লেখক মুহাম্মদ সদর আলা। বইটি খুবই সংক্ষিপ্ত ও ছোট কিন্তু সাহিত্যপূর্ণ ভাষায় লেখা। হাজী খলিফা কাশফুজ জুনুনে এই বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
১১. তারীখে মোবারকশাহী। লেখক ইয়াহইয়া বিন আহমদ দেহলভী। সুলতান মোবারক শাহের শাসনকাল নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি।
১২. ওয়াকেয়াতে মুশতাকী। লেখক যউকুল্লাহ বিন সাদুল্লাহ বুখারী দেহলভী। সুলতান বাহলুল লোদীর সময়কাল থেকে শাহ আদিল সুরীর শাসনামল পর্যন্ত সময়কালের ইতিহাস নিয়ে লেখা।

গুজরাটের ইতিহাস নিয়ে লেখা বইগুলো :

১. মুজাফফর শাহী। প্রথম মোজাফফর শাহের শাসনামলে গুজরাটের পরিস্থিতি নিয়ে লেখা।
২. আহমদ শাহী। আহমদ শাহ গুজরাটির শাসনকাল নিয়ে লেখা।
৩. মাহমুদ শাহী। একে মাআছিরে মাহমুদিয়াও বলা হয়। সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলের ঘটনাবলী নিয়ে লেখা। লেখক শামসুদ্দীন মাহমুদ সিরাজী।
৪. তবাকাতে মাহমুদ শাহী। লেখক আব্দুল করিম বিন আতাউল্লাহ সিরাজী। বইটি গুজরাটের সুলতান মাহমুদ শাহের শাসনামলে লেখা হয়। লেখক এ বইতে আদম (আ) এর সময়কাল থেকে ৯১৫ হিজরী পর্যন্ত সময়কালের ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ করেছেন।
৫. বাহাদুরশাহী। গুজরাটের সুলতানদের ইতিহাস। লেখক হিসাম খান। বাহাদুর শাহ বিন মুজাফফরের শাসনামলে লেখা।
৬. মিরআতে সিকান্দারী। গুজরাটের সুলতানদের ইতিহাস। লেখক ইস্কান্দর বিন মুহাম্মদ গুজরাটি। রচনাকাল ১০২০ হিজরী।
৭. মিরআতে আহমদী। লেখক মির্জা আলী মুহাম্মদ গুজরাটি।
৮. তারীখে সগীর। লেখক আবু তোরাব বিন কামালউদ্দিন হুসাইনি গুজরাটি।
৯. তারীখে গুজরাট। লেখক আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন উমর । বইটি লন্ডন থেকে ছেপেছে।
১০. তুহফাতুস সাদাত। লেখক আরাম কাশ্মিরী। বইটি সাইয়েদ মোবারক হুসাইনি বোখারী গুজরাটির জন্য লেখা হয়।
১১. ইয়াদে আইয়াম। উর্দু ভাষায় রচিত ছো্ট একটি গ্রন্থ। লেখক খাকসার।

দাকানের শাসকদের ইতিহাস নিয়ে লেখা বইগুলো :

১. বাহামননামা । লেখক আদরি ইসফারাইনি।
২.সিরাজুত তাওয়ারিখ। লেখক মোল্লা মুহাম্মদ বায়দারী।
৩. তুহতাফুস সালাতিন। লেখক মোল্লা দাউদ বায়দারী।
৪. মাহবুবুল ওয়াতন। লেখক মৌলভী আব্দুল জাব্বার আসেফী হায়দারাবাদী।
৫. আল মাহমুদিয়া। উযির ইমাদুদ্দীন মাহমুদ গিলানীর জন্য আব্দুল করিম হামাদানী বইটি লেখেন।
৬. মাআছিরে বোরহানী। লেখক আলী বিন আব্দুল আজীজ বিন আজিজুল্লাহ। ১০০৯ হিজরীতে বোরহান নিজাম শাহ প্রথমের শাসনকালে বইটি লেখা হয়।
৭. তারীখে শিহাবী। লেখক শিহাবুদ্দীন আহমদ নগরী।

মালোয়ার শাসকবর্গের ইতিহাস নিয়ে লেখা বইগুলো :

১. মাহমুদশাহী। প্রথম মাহমুদ শাহের শাসনামলে হাকিম শিহাবুদ্দীন জৌনপুরী বইটি লেখেন। মাহমুদশাহী নামে আরেকটি বই আছে যা দ্বিতীয় মাহমুদশাহের শাসনামলে লেখা হয়।
২. তারীখে আসাদী। বিজাপুরের ইতিহাস নিয়ে নবাব আসাদ খান লারী লিখেছেন।
৩. তাযকিরাতুল মুলুক। রফিউদ্দীন সিরাজী ১০১৮ হিজরীতে বিজাপুরের শাসকদের ইতিহাস নিয়ে বইটি লেখেন।
৪. নাওয়াস নামা । এই বইয়ের অপরনাম গুলজারে ইব্রাহিমী। মুহাম্মদ কাসেম বিন গোলাম অস্ত্রাবাদী বিজাপুরী ১০১৮ সালে ইবরাহীম আদিল শাহের শাসনামলে বইটি লেখেন। স্বীয় বিষয়ে এটি একটি অসাধারণ বই। ইসলামের সূচনা যুগ থেকে লেখকের সময়কাল পর্যন্ত ভারতবর্ষের শাসকদের ইতিহাস বিবৃত হয়েছে বইটিতে। সাধারণত বইটি তারীখে ফেরেশতা নামেই অধিক পরিচিত ।
৫. মুহাম্মদনামা। জহুর বিন জহুরী কায়েনীর লেখা এ বইতে মাহমুদ আদীল শাহ পর্যন্ত বিজাপুরের শাসকদের ইতিহাস বিবৃত হয়েছে।
৬. ইনশা আদিল শাহী। লেখক নুর বিন আলী মুহাম্মদ বিজাপুরী।
৭. শাহনামা। উর্দুতে লিখিত এই গ্রন্থের লেখক আবুল হাসান বিন কাজী আব্দুল আজীজ বিজাপুরী।
৮. বাসাতিনুস সালাতিন। মির্জা ইব্রাহিম যুবায়রির লেখা।
৯. তারীখে বিজাপুর। লেখক শিহাবুদ্দীন আহমদ নগরী।

গোয়ালকুন্ডার শাসকদের ইতিহাস নিয়ে লেখা বইগুলো :

১. কুতুবশাহী। লেখক খোরশাহ ফারসী। বইয়ের শেষদিকে বাহামনি এবং কুতুবশাহী শাসকদের আলচনা আছে।
২. তারীখে নেজামি। লেখক সাইয়েদ নিজামুদ্দীন।
৩. হাদীকাতুল আলম। লিখেছেন উযীর আবুল কাসেম রাজী তুসতরী।
৪. তারীখে কাদেরী। মুনশী কাদের খান বায়দারীর লেখা।

(দ্বিতীয় পর্ব)

মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস নিয়ে লেখা বইগুলো :

১. ওয়াকেয়াতে বাবরী। এটি তুজুকে বাবরী নামেও প্রসিদ্ধ। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবর তুর্কি ভাষায় এটি লেখেন।

তুজুকে বাবরীর উর্দু অনুবাদ

২. ওয়াকেয়াতে হুমায়ুনি। জওহর আফতাবচির লেখা। এটি তাজকিরাতুল ওয়াকেয়াত নামেও পরিচিত। সম্রাট হুমায়ুনের আলোচনা।
৩. হুমায়ুন নামা। হুমায়ুনের সৎ বোন গুলবদন বেগমের লেখা। সম্রাট হুমায়ুনের আলোচনা।

৪. তবাকাতে আকবরী। লেখক মির্জা নিজামুদ্দীন বিন মোহাম্মদ মুকিম আকবরাবাদী।
৫. আবুল ফজলের আইনে আকবরী ও আকবরনামা।
৬. মুনতাখাবুত তাওয়ারিখ। মোল্লা আব্দুল কাদের বাদায়ুনী।

মুনতাখাবুত তাওয়ারিখের উর্দু সংস্করণ

৭. হাফতে গুলশন। লেখক মির্জা মোহাম্মদ হাদী। পুরো বইটি সাত অধ্যায়ে বিভক্ত। শেষ অধ্যায়ে মাশায়েখদের জীবনি আছে।
৮. আখবারুল মুলুক। লেখক আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী।
৯. তুজুকে জাহাংগীরী। সম্রাট জাহাঙ্গীরের লেখা আত্মজীবনি।
১০. ইকবালনামা। লেখক মুতামিদ খান মুহাম্মদ শরীফ বিন দোস্ত মুহাম্মদ ইরানী।
১১. মাআছিরে জাহাঙ্গীরি। মির্জা কামগারের লেখা।
১২. বাদশাহনামা। লেখক আব্দুল হামিদ লাহোরী। বইটি সম্রাট শাহজাহানের শাসনামল নিয়ে চারখন্ডে লেখা।
১২. বাদশাহনামা। লেখক ওয়ারিস আকবরাবাদী।
১৩. বাদশাহনামা। মির্জা মুহাম্মদ আমিন কাজভিনীর লেখা ।
১৪. শাহজাহাননামা । মির্জা আলাউদ্দীন আলাউল মুলুকের লেখা।
১৫. শাহজাহাননামা। মির্জা মুহাম্মদ তাহের ।
১৬. শাহনামা। মির্জা আবু তালেব কালিম হামদানীর লেখা। ফার্সী কাব্যাকারে লেখা হয়েছে বইটি।
১৭. আমালে সালেহ। মুহাম্মদ সালেহ আকবরাবাদীর বই।
১৮. যুবদাতুত তাওয়ারিখ। মুফতী নুরুল হক বিন শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী।
১৯. তারীখে খানদানে তৈমুরী। বইটি ফার্সী ভাষায় লেখা। তৈমুর লঙ্গয়ের সময়কাল থেকে আকবরের শাসনামলের ২২ বছর পর্যন্ত সময়কালের ইতিহাস বিবৃত হয়েছে বইটিতে।
২০. আলমগীরনামা। লেখক মীর্জা মুহাম্মদ কাজেম কাযভিনী। আলমগীরের শাসনামলের প্রথম দশ বছরের আলোচনা আছে বইটিতে।
২১. মাআছিরে আলমগিরী। লেখক মুহাম্মদ সাকি মুসতাইদ খান। ১১২২ হিজরীতে উযীর এনায়েতুল্লাহ কাশ্মীরীর আদেশে তিনি বইটি লেখেন। আলমগিরের শাসনামলের প্রথম দশ বছর বাদে বাকী সময়কালের আলোচনা আছে এতে। একে মির্জা কাজেমের আলমগীরনামার তাকমিলা বলা যায়।
২২. যফরনামা আলমগীর। লেখক মীর সাহেব কাবেল।
২৩. আছুবে হিন্দুস্তান। ফার্সি ভাষায় কাব্যাকারে লিখিত বইটিতে শাহজাহানের ছেলেদের সিংহাসন নিয়ে লড়াই ও আলমগীরের সামরিক অভিযানগুলোর আলোচনা করা হয়েছে। লেখক বেহেশতী সিরাজী।
২৪. ফুতুহাতে আলমগীর। লেখক মোহাম্মদ মাসুম।
২৫. আওরংনামা। লেখক মীর মোহাম্মদ আসকারী।
২৬. মিরআতুল আলম। লেখক বখতাউর খান।
২৭. মিরআতে জাহানামা। মুহাম্মদ বাকা সাহারানপুরী।
২৮. ফাতহুশ শাম। লেখক শিহাবুদ্দীন তালেশ।
২৯. ওয়াকায়ে। নেয়ামত খান আলী সিরাজীর লেখা।
৩০. দস্তুরুস সিয়াক। আলমগীরের আমলে সুলতানের আমদানী বিষয়ক হিসাব মিলবে বইটিতে। জংনামা, শাহ আলমনামা। তিনতি বইই নেয়ামত খান আলীর লেখা।
৩১.মুনতাখাবুল লুবাব। তিন খন্ডের এ বইটি লিখেছেন খফী খান।
৩২. ফুরখে শাহিয়া। ইখলাস খান কালানুরী।
৩৩. মুহাম্মদ শাহিয়া। মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের আমলে বইটি লিখেছেন গোলাম হুসাইন বিন হেদায়াত আলী।
৩৪. তাজকিরায়ে সালাতিন। লেখক মুহাম্মদ হাদী কামুর খান। এই বইতে চেংগিস খানের সময়কাল থেকে দিল্লীর সম্রাট মুহাম্মদ শাহের সময়কাল পর্যন্ত ইতিহাস বিবৃত হয়েছে।
৩৫. মিরআতে আফতাবনামা। সাইয়েদ আব্দুর রহমান দেহলভী ১২৩৪ হিজরীতে বইটি রচনা করেন।
৩৬. মিরআতুস সানা। মির মুহাম্মদ আলী বিন মুহাম্মদ সাদেক বুরহানপুরী ১১৭০ হিজরীতে জুযল শাহের আদেশে বইটি রচনা করেন।
৩৭. সিয়ারুল মুতাআক্ষেরিন। দুই খন্ডের বইটির লেখক সাইয়েদ গোলাম হুসাইন।

সিয়ারের ইংরেজী অনুবাদ

৩৮. মুলাখখাসুত তাওয়ারিখ। বইটি ফার্সী ভাষায় লেখা। ৭৭২ হিজরী থেকে ১১৯৫ হিজরী সময়কালের ইতিহাস বিবৃত হয়েছে বইটিতে। লেখক সাইয়েদ ফরজন্দ আলী।
৩৯. যুবদাতুত তাকওয়ারিখ। আব্দুর রহিম বিন আব্দুল করীম সফিপুরী।
৪০. তারীখুল হিন্দ। আব্দুর রহীম বিন মুসাহেব আলী।
৪১. মাজমাউস সালাতিন। লেখক তাওয়াব জাওয়ারা।
৪২. দরবারে আকবরী। শামসুল উলামা মাওলানা মুহাম্মদ হুসাইন আজাদ দেহলভী।
৪৩. তাযকিরাতুল মুলুক। ফার্সিতে বইটি লিখেছেন রফিউদ্দীন মুরাদাবাদী।
৪৪. কিতাব দর আখবারে মুলুক। আব্দুল কাদের বিন মুহাম্মদ আকরাম রামপুরী এই বইতে ভারতবর্ষে হিন্দু শাসনামল থেকে মুসলিম শাসনের শেষভাগ পর্যন্ত আলোচনা করেছেন।
৪৫. হাদিকাতুল আকালিম। আলা ইয়ার খান বালাগ্রামীর বই।
৪৬. তারীখে হিন্দুস্তান। মৌলভী যাকাউল্লাহ দেহলভী। উর্দু ভাষায় ১৪ খন্ডে সমাপ্ত বইটি। ভারতবর্ষে মুসলিমদের আগমন থেকে লেখকের সময়কাল পর্যন্ত ইতিহাসের আলোচনা আছে বইটিতে। (এটি একটি অসাধারণ বই। বলা যেতে পারে ফার্সিতে রচিত সকল ইতিহাস গ্রন্থের নির্যাস চলে এসেছে এ বইতে — ই. রা)

৪৭. তারীখে হিন্দ। মৌলভী মাসিহুদ্দীনের লেখা।
৪৮. তারীখে কাশ্মীর। কাব্যাকারে এ বইটি সাদাত শায়েরী ১০৯৪ হিজরীতে রচনা করেন।
৪৯. তুর্কে তাজানে হিন্দ। মির্জা আনসারুল্লাহ খান ইসফাহানীর লেখাএ বইটি ফার্সী ভাষায় চার খন্ডে সমাপ্ত।
৫০. তারীখে মুখাদ্দারাতে তৈমুরিয়া। দুই খন্ডের বইটির লেখক আব্দুল হালীম শরর লখনভী ( যিবি বিখ্যাত ইসাবেলা বইটির লেখক)।
৫১. বাহারীস্থান-ই-গায়বী। মির্জা নাথানের লিখিত এ বইতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলা, আসাম ও কুচবিহারের সেনা অভিযানের আলোচনা আছে।
৫২. বজমে তৈমুরিয়া। সাইয়েদ সবাহুদ্দিন আব্দুর রহমানের লিখিত বইটি দারুল মুসান্নেফিন আজমগড় থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলার ইতিহাস নিয়ে রচিত বইগুলো :

১. রিয়াযুস সালাতিন। গোলাম হোসেন সেলিম ১২৩৩ হিজরীতে বাংলার ইতিহাস নিয়ে বইটি লেখেন।
২. খুলাসাতুত তাওয়ারিখ। সাইয়েদ এলাহী বখশ হুসাইনির লেখা।
৩. খুলাসাতুত তাওয়ারিখ। মৌলভী আব্দুর রউফ ওয়াহিদীর লেখা।
৪. তারীখে মোজাফফরী। ১১৩১ থেকে ১১৮৭ হিজরী পর্যন্ত বাংলার ইতিহাস নিয়ে লেখা।
৫. রাহাতুল আরওয়াহ। ইসলামের শুরু যুগ থেকে ১২০৭ হিজরী পর্যন্ত সময়কাল নিয়ে মুহাম্মদ রাহাত এ গ্রন্থ লেখেন।
৬. তারীখে জাহাঙ্গীরনগর। সাইয়েদ আলী খানের লেখা।
৭. আজকারুস সালাতিন। ফকির মোহাম্মদ রাজাপুরীর লেখা।
৮. আহাদিসুল খাওয়ানিন। চট্টগ্রামের ইতিহাস নিয়ে মৌলভী হামিদুদ্দীন চাটগামী বইটি লিখেছেন।

লেখক: ইমরান রাইহান

অন্যান্য লেখা

আল্লাহর কসম! উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা দান করলেও তুমি আমার সেই প্রবীণ সাহাবীদের সমকক্ষ হতে পারবে না,"— রাসূলুল্লাহ ﷺ এই মহামূল্যবান বাক্যটি বলেছিলেন যখন খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) ও......
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "কেউ যদি জীবিত অবস্থায় একজন শ হি দ কে দেখতে চায়, তবে সে যেন তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহকে দেখে।" এই দীপ্তিময় বক্তব্যের কারণেই তিনি ‘জীবন্ত শ হি দ’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। উহুদের.....
প্রত্যেক নবীরই একজন বিশেষ অনুসারী থাকে, আর আমার অনুসারী হলো যুবাইর।” — রাসূল ﷺ-এর এই বিশেষ স্বীকৃতিই যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.)-এর স্থান ও মর্যাদার পরিচয় তুলে ধরে। তিনি ছিলেন রাসূল ﷺ-এর...........

আপনার অনুদানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে!

আপনার সদয় অনুদানের জন্য ধন্যবাদ! আপনার উপহারটি সফলভাবে পৌছে গেছে এবং আপনি শীঘ্রই একটি এসএমএস অথবা ইমেইল পাবেন।

অনুদানের তথ্য

Thank You for Registering! 🎉

Connect Us:

See you soon! 🎉